মহাকবি ও মন্দাক্রান্তা
বিভঙ্গে উদ্ধত খাজুরাহোর মতো
তোমাকে অপ্সরা মানানসই!
সে কোন মহাকবির মানসী মূর্তির
বিবর্তন যেন সামান্যই!
আমার ফুরোয় খেলা পলকে ছেলেবেলা
পলকে যৌবন ফুরিয়ে যায়;
সংস্কারের ফাঁকে প্রারব্ধ কি থাকে?
মরণ ছাপ রাখে বলিরেখায়!
তুমি আদি ছায়ানট চিকন কটিতট
নদীর মতো বাঁক নিতম্বের;
একুশ শতাব্দীর চারণ কবিটির
কবিতাতেও হয় না হেরফের।
সুগন্ধী কুয়াশায় মর্ত্য ডুবে যায়
স্বর্গ নেমে আসে মাটির ’পর;
কথায় ছন্দ নাচে ওঠাপড়ায় বাজে
কোমল কড়ি সহ বারোটি স্বর।
কামনার উদ্রেকে জ্বলুক প্রত্যেকে
এমনই যেন তুমি চেয়েছ আজ;
দৃঢ়-কাচুলির বেশে ফিরেছ অবশেষে
কাটিয়ে স্লিভলেসে গভীর খাঁজ।
বুকে ঢেউ উন্মুখ— কুচিতে কুচযুগ
যেখানে শোভা পেত মুক্তাহার;
মরমী চেতনবীণা হৃদয়ে বাজে কিনা
খুঁজতে গেলে কেউ পায় না পার।
যেখানে কথার শেষ মিড়ের ভাবাবেশ
গহন সংগীতে ছড়িয়ে যাও;
বিষয়ী তো কোন ছার; সাধু কি বোঝে সার?
সে হয় কবি যার ধ্যান ভাঙাও।